প্রবাহ ডেস্ক :
৪৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে ১২ বার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ৪ কোটি টাকার বেশি অর্জন করেছেন এক নারী। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনা, যেখানে বারবার বিচ্ছেদের পরও ওই দম্পতি আবার বিয়ে করেছেন। তবে, এর পেছনে রয়েছে একটি বড় রহস্য।
১৯৮১ সালে প্রথম বিয়ে করেন ৭৩ বছর বয়সী ওই নারী ও তার স্বামী। প্রথম বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৮৮ সালে, তারপর থেকে বিয়ে-বিচ্ছেদ, বিয়ে-বিচ্ছেদ করেই তারা গত ৪৩ বছর কাটিয়েছেন। বারবার বিচ্ছেদ নেওয়ার পরও তাদের সম্পর্কের পুনর্গঠন আর বিচ্ছেদের পর সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
অস্ট্রিয়ায় একটি বিশেষ কল্যাণমূলক স্কিম রয়েছে, যা বিবাহবিচ্ছেদের শিকার নারীদের জন্য সহায়তা প্রদান করে। এই স্কিমের আওতায়, যদি কোনো নারী সদ্য বিচ্ছেদ ঘটে, তাহলে তিনি ২৮ হাজার ৪০৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ ৭৯ হাজার ২২৪ টাকা) এককালীন সহায়তা হিসেবে পেতে পারেন।
এবার জানা গেছে, ওই নারী যতবার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নিয়েছেন, প্রতিবারই এই সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন এবং তা পেয়েছেন। ১১তম বিচ্ছেদ পর্যন্ত তিনি সরকারের সাহায্য গ্রহণ করেছেন। ফলে গত ৪৩ বছরে তারা একযোগে ৩ লাখ ৪২ হাজার ডলারের বেশি অর্থ উপার্জন করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকার সমান।
তবে, ২০২২ সালে তাদের সর্বশেষ বিচ্ছেদের পর সরকারি স্কিমের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তদন্তের পর সত্য উদঘাটিত হলে আদালত ওই নারীর বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, জানিয়েছে ভিয়েনা পুলিশ।
এই অদ্ভুত ঘটনা অস্ট্রিয়ার সমাজে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে এক দম্পতির বিচ্ছেদের মাধ্যমে এত বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র : হিন্দস্তান টাইমস