প্রবাহ ডেস্ক :
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রায় ১৭ বছর পর মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষা উপ-মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। এ সময় জেলগেটে তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শত শত বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজকে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে আব্দুস সালাম পিন্টুকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাবেন পিন্টু। সেখান থেকে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবার কথা রয়েছে।
কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলায় ২৪ জনের প্রাণ হানী হয়, কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কারাগারে ছিলেন পিন্টু। এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যু দন্ড দেয় তৎকালিন বিচারিক আদালত।
এ ছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদগন্ড দেয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরো ১৯ জনকে।
গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দেয় আদালত। এ মামলায় সাজার রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে তাঁদেরকে মুক্তির আদেশ দেন।
আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর- ভুঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।