প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত বিভিন্ন পদের ১৫ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মচারীরা ২০২২ সালে হাসপাতালটিতে নিয়োগ পেয়ে ছিলেন।
তবে অব্যাহতির বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস।
এ দিকে কর্মচারীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়ায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তাদের নিয়োগের শর্তানুযায়ী ১৬ হাজার ১৩০ টাকা বেতনের মধ্যে দেওয়া হত ১০ হাজার টাকা।
তা ছাড়াও গত ৫ মাসে ১২ হাজার টাকা করে দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার ২০২৪ সালের (৩১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে কর্মরত ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ওয়ার্ড বয়, ইলেট্রিশিয়ান, বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরী পদের ১৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস।
অব্যাহত দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন পদবির ৯০ জন জনবল সরবরাহ করা নিম্নে বর্ণিত পদবির ১৫ জনকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মিটিং মিছিলের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের নিয়োগ পত্র বাতিল করা হইল।
এ দিকে, অব্যাহতি পাওয়া এক জন কর্মচারীরা জানান, আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
সেই সময় নিয়োগ পাওয়া এখনও অনেকেই কর্মরত রয়েছেন।
শুধু আমাদের ১৫ জনকে অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়েছে। অথচ কেউ কোনো দল বা মিছিল মিটিং করেনি, কোনো খারাপ রেকর্ডও নেই আমাদের।
পর্যায়ক্রমে নিয়োগ পাওয়া ৯০ জন চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে শুনেছি।
পরে নতুন করে অন্যদলের লোক জন নিয়োগ দিবে।
বর্তমানে বিএনপির দুই নেতা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন বলে শুনেছি।
অব্যাহতি পাওয়া কয়েক জন চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য ওই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
অব্যাহতি পাওয়া ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পাপিয়া আক্তার বলেন, কর্মচারীদের একটি গ্রুপে অব্যাহতির ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পরে সুপার ভাইজার গ্রুপে অব্যাহতি পাওয়া ১৫ জনকে হাসপাতালে আসতে নিষেধ করেন।
আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগ পাওয়ায় নাকি আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।আমরাতো কোনো দল করি না। কোনো কারণ ছাড়া চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজার মো. জিলান বলেন, অব্যাহতি পাওয়া কর্মচারীরা আওয়ামী লীগের সময় রাজনৈতিক প্রোগ্রাম, মিছিল মিটিং করেছে।
সুপারভাইজারের দেওয়া অভিযোগের কারনে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ভাইজার আল আমিন জানান, অব্যাহতি পাওয়া কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের (৫ আগস্টের) আগে মিছিল-মিটিং করা, চাকরির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এই কারণে প্রতিষ্ঠান তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ ছাড়াও অব্যাহতির কোনো চিঠি এবং কোন কাগজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি।
টা/প্র/অন্তু (৩ জানুয়ারি)।