7:59 pm, January 9, 2025

সখীপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রবাহ ডেস্ক :

টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগে উঠেছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে প্রতিনিয়তই প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে মীর আবুল হাশেম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী আমেনা বেগম বলেন, আমার দাদার মৃত্যুর পর দাদার ৫ ছেলের নামে সম্পত্তি ওয়ারিশ করে দেওয়া হয়। আমার বাবা-চাচারা তাদের পৈত্রিক সূত্রে ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি মৌখিক ভাগ বাটোয়ারা করে ভোগদখল করে আসছিলো।

পরবর্তীতে বাবা- চাচাদের মৃত্যুর পর ওয়ারিশপ্রাপ্ত সম্পত্তি সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে ভোগ দখল করতে গেলে আমার চাচা আজিজুর রহমানের ওয়ারিশগণ বিরোধীতা করেন। বিগত ৫ আগস্টে ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানে পর মীর আবুল হাশেম ও ইলিয়াস কাশেম আমার ভাইবোনসহ অন্যদের হয়রানি ও নির্যাতন করে যাচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতা ও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আমাদের সখীপুর মৌজার ৭৬ ও ১০৭ দাগের যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর করে। পরে আমার চাচা আজিজুর রহমানের ওয়ারিশানরা একক ভাবে সম্পত্তি দখল করার লক্ষ্যে জোর পূর্বক মার্কেট নির্মান শুরু করে বর্তমানে তা ভাড়া দিয়েছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে আমাদের সবাইকে মারপিট করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এখনও প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে মীর আবুল হাশেমের নেতৃত্বে তার সহোদর হারুন মাহমুদ ওরফে হারুন কিশোর, বোন কোহিনুর ও আরেক ভাই ইলিয়াস কাশেমসহ পরিবারের অন্যান্য ভাই-বোন এবং আত্মীয়-স্বজন মিলে আমাদের জমির একটি ঘর ভাঙচুর করে। আমাদের ৪/৫ জন নারীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। আমরা আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি।

আমেনা বেগম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এই জমির অনেক মামলায় জয়লাভ করেছি। কেউ যাতে জোর করে কাজ না করতে পারে সেজন্য নিম্ন আদালতে ও হাইকোর্টে মামলা করেছি। হাইকোর্ট উভয় পক্ষকে স্থিতি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে (৫ আগস্টের) পর দখল ও লুটপাটে মেতে উঠে।

এ দিকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা বিএনপি গত ২৯ ডিসেম্বর মীর আবুল হাশেম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত নোটিশে মীর আবুল হাশেমকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা নাহলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের ব্যাপারে মীর আবুল হাশেম বলেন, আমার নানার বাড়ির জমিতে ৫ আগস্টের পরে মার্কেট নিমাণ করেছি। আমি নোটিশের জবাবও দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, তিনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন। নোটিশের জবাব দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরো খবর

- Advertisement -spot_img