প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের একটি বনে সাপ ধরতে যান সাপুড়ে হুজু মিয়া (৪৪)। গর্ত থেকে সাপ ধরতে গিয়ে সাপুড়ের হাতে কামড় দেয় বিষধর গোখরা সাপ।
পরে কামড় খেয়ে সেই গোখরা ধরে দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে হাজার হন সাপুড়ে। সেখানে তাঁকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া হলে তিনি শঙ্কামুক্ত হন। শনিবার এ ঘটনাটি ঘটে।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সাপ দেখে ভ্যাকসিন দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে সাপুড়েকে পাঠিয়ে দেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। সাপুড়ে অনেকটা শঙ্কামুক্ত।
সাপুড়ে হুজু মিয়ার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার সাভারে হলেও তাঁরা ১০-১২টি পরিবার এক যুগ ধরে সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের রামখা এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁদের পেশা সাপ ধরা ও বিভিন্ন বাজারে সাপের খেলা দেখানো।
সাপুড়ে হুজু মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বানেছা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো সাপুড়ে হুজু মিয়া কচুয়া এলাকার একটি বনে সাপ ধরতে যান। একটি গর্তে সাপের অস্তিত্ব টের পেয়ে কোদাল দিয়ে খুঁড়তে থাকেন। একপর্যায়ে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসতেই ধরতে যান হুজু মিয়া।
এ সময় বিষধর গোখরা তাঁর হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। সেই কামড় খেয়েও দমে যাননি সাপুড়ে। সাপটি ধরে সোজা চলে যান হাসপাতালে।
এ দিকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, রোগীর হাতের ক্ষতস্থান ও গোখরা সাপ দেখে হাসপাতালে থাকা সাপে কাটার ভ্যাকসিন সময়মতো পুশ করা হয়েছে।
এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত রোগী সুস্থ আছেন। সাপ সঙ্গে নিয়ে আসায় সাপের কামড়ের ক্ষতস্থান দেখে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয়েছে।