10:36 pm, January 18, 2025

টাঙ্গাইল পৌর সভায় অনিয়ম, স্বাস্থ্য সেবার নামে টাকা আত্মসাৎ

প্রবাহ ডেস্ক :

টাঙ্গাইল পৌর সভার পক্ষ থেকে নাগরিকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান টাকা বরাদ্দ থাকলেও সরকারি টিকাদান কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো প্রকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেনা পৌর বাসিন্দারা।

টাঙ্গাইল পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, পৌর সভার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে কেউ তা জানেই না।

করোনা কালীন সময়ে পৌর এলাকার করোনা পজিটিভ ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য কয়েক ধাপে ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করার বিল উত্তোলন করা হয়েছে।

এ দিকে রেজিস্ট্রারে ১৭টি উল্লেখ থাকলেও সরেজমিনে সিলিন্ডার রয়েছে ১টি। বিভিন্ন সময়ে পৌর-নাগরিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য ঔষধ ক্রয় বাবদ বড় অংকের টাকার বিল উত্তলোন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌর বিশ্বাস বেতকা এলাকার মো. ওবায়দুল্লার মেয়ে আবিদা বেগম কয়েক বছর ধরে শ্বাসকষ্টরোগে ভুগছে। ঠান্ডার কারনে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তখনই তাকে অক্সিজেন নিতে হয়। অক্সিজেন নেয়ার জন্য তাকে হাসপাতালেও যেতে হয়।

পৌর সভার পক্ষ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয় এই বিষয়টি তিনি কখনো শুনেননি বলে জানান।

তিনি আরও জানান, শ্বাসকষ্টরোগের জন্য মাঝে মধ্যেই অক্সিজেন বা নেবুলাইজার নিতে হয়। এক দিন রাত ১ টায় দিকে তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে নিয়েছিল পরিবার থেকে।

পৌরসভার কোন নাগরিকই হয়ত জানেন না অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবার বিষয়টি। যদি এমন সুযোগ থাকার পরেও পৌরসভার পক্ষ থেকে সেবা না দিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়ে থাকে তা হলে তো বিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

করোনাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে স্বাস্থ্যসেবা পেতে হিমশিম খেতে হয়েছিল রোগীদের। ওই সংকট মূহুর্তে অনেক সরকারি, সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে এসেছিল।

এ সময় শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া দুষ্কর ছিল। তখন থেকে টাঙ্গাইল পৌরসভা অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত স্বাস্থ্যসামগ্রীর কেনা শুরু করে।

এরপর প্রতি অর্থবছরে চতুর্থ কিস্তি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সামগ্রী কিনে ছিলো পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখা। যা পৌর সভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাসের অধীনে স্বাস্থ্য সামগ্রী কেনা হয়েছে।

অনুসন্ধানে এ সব ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রে স্বাস্থ্য সামগ্রীর মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিল উত্তোলণ করা হয়েছে ৩ লাখ থেকে ৭ হাজার টাকা।

করোনাকালীন সময়ে পৌর সভার নাগরিকদের জরুরী সেবা দেয়ার জন্য এসআর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়েছিল।

বাজার মূল্যের প্রায় দুই গুন বেশি দামে ক্রয় করা হয় এ সব অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই পৌরসভায়। একটি সিলিন্ডার ব্যতিত বাকি ১৬ টি সিলিন্ডার কোথায় এই তথ্য দিতে পারেননি দায়িত্বরত সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাস।

সরেজমিনে,  টাঙ্গাইল পৌর সভার স্বাস্থ্য শাখায় গিয়ে দেখাযায়, নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিভিন্ন অর্থবছরে কেনা একটি মাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া বাকিগুলো নেই।

পৌরসভার স্বাস্থ্য শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কথা হয়েছে।

এ দিকে কর্মকর্তারা জানান, ইপিআই কক্ষে ১ টি সিলিন্ডার পড়ে রয়েছে বহুদিন ধরে। সেই টা ব্যবহার হয়নি কোন দিন।

কয়টা অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়েছে বা কি কাজে সেটি ব্যবহার হবে সেই সম্পর্কে কোন ধারণা স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হয়নি।

অন্যদিকে সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ দাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পৌর সভার কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সভার ২ জন কর্মকর্তা বলেন, সাবেক পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক (আলমগীর) একক নির্দেশনায় ওষুধ বা স্বাস্থ্য সামগ্রী কেনার জন্য সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ দাসকে স্বাস্থ্য শাখার দায়িত্ব দেয় মেয়র।

এরপর থেকে সুভাশীষ সরাসরি কেনা-কাটার বিষয়ে একক মেয়রের সাথে কথা বলে মালামাল ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডারের টাকা আত্মসাত করেনি এর সাথে, অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সামগ্রী বাড়তি দামে কিনে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

পৌর সভা সূত্রে, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাস প্রথমে বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে পৌরসভায় যোগদান করেন।

পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক (আলমগীর) আস্থাভাজন হয়ে উঠেন তিনি। এরপর তাকে ওই পদ থেকে সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর সাথে স্বাস্থ্য শাখার দায়িত্ব দেন মেয়র।

তখন থেকেই স্বাস্থ্য শাখার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম শুরু করেন তিনি।

তথ্যমতে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসআর এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স ব্যবহার করে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করেন সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ দাস। এর বিনিময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নাম মাত্র টাকা দিতে হত লাইসেন্স ব্যবহারের জন্য। 

ওই প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে অর্থবছরে (২০২১-২০২২) তিন ধাপে ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়। প্রত্যেকটির দাম ধরা হয়ে ছিল ১৮ হাজার টাকা।

তবে ১৭টি সিলিন্ডারের জন্য বিল উত্তোলণ করা হয়ে ছিল ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। প্রিমিয়াম ব্যাংকের মাধ্যমে কেনা-কাটার চেক উত্তোলন করা হয়।

এ দিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস.আর এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর সেলিম হোসেন আত্মগোপনে রয়েছেন।

এ ছাড়াও অপরিচিত কারোর ফোনও রিসিভ করছেন না তিনি। বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন ও এসএমএস পাঠিয়ে কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে টাঙ্গাইল পৌরসভায় জনগনের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে তৃতীয় পর্যন্ত ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়। বেসরকারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসআর এন্টারপ্রাইজকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের আগষ্ট ও নভেম্বর এবং ২০২২ সালের মার্চ ও আগষ্ট মাসে সর্বমোট ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে। সরবরাহ করা অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম যাচাই করতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ময়মনসিংহ রোডের একটি মেডিকেল সার্ভিসেস শোরুমে যাওয়া হয়।

টাঙ্গাইল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি ভালমানের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম জানিয়েছে ৬ হাজার ৮০০ টাকা। এরসাথে বাড়তি সিলিন্ডার ক্যাপ ও ট্রলি যুক্ত করলে দাম গিয়ে দাড়ায় ৮ হাজার ৮০০ টাকা।

এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিলের সাথে ওয়ানটাইম মাক্স, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, সাবান, থার্মাল স্ক্যানার, মশক নিধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, ফগার মেশিনের ডেসিস, স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে বাজার মূল্যের বেশি দামে। কেনা এ সব পন্যের বাজার দরও যাচাই করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গত ২১ আগষ্ট ২০২৩ সালে এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং ২৭ জুন ২০২৪ সালে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ টাকা কোন স্মারক না দেখিয়ে ডেঙ্গু মশক নিধনের প্রকল্পে ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা উত্তোলন করা হয়।

সর্বশেষ ওই অর্থ বছরের ১৬ জুন তৃতীয় কিস্তির ৩ লাখ ১৪ হাজার এবং একই মাসের চতুর্থ কিস্তির ৪ তারিখে ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকার পৌরসভার নাগরিকদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সহায়তার বিল উত্তোলণ করা হয়।

টাঙ্গাইল পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় করোনাকালিন সময়ে অনেক ছোট-বড় সংগঠন গড়ে উঠেছিল।

তারা শ্বাসসকষ্ট রোগীদের জন্য ব্যক্তিগত টাকায় কেনা অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনামূল্যে সরবরাহ করতো। 

টাঙ্গাইল পৌর সভার এনায়েতপুর, বৈল্ল্যা, সাবালিয়া, কাগমারা, বাজিতপুর, আদি টাঙ্গাইল, আকুর-টাকুরপাড়া, বিশ্বাস বেতকা, আশিকপুর, আদালতপাড়া, থানাপাড়া, কলেজপাড়া এলাকায় গিয়ে সেখানকার মানুষজনের সাথে কথা বলে জানা যায় পৌরসভার স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া বিষয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে কখনো জানানো হয়নি, তারা কেউ এ সব সেবার কথা জানেন না।

তারা জানিয়েছেন, পৌরসভা থেকে করোনাকালিন জনপ্রতিনিধিরা এলাকাগুলোতে সার্জিক্যাল মাক্স বিতরণ করেছে শুধুমাত্র এর বাইরে কোন সেবা তারা পায়নি।

এ ছাড়া ইপিআই কার্যক্রমের মধ্যে শিশুদের টিকাদান ছাড়া কিছুই জানেন না তারা।

টাঙ্গাইল পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় এটা জানেন।

তবে পৌরসভায় যে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রী দেয়া হয় তারা জানেন না। প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে হতবাক হয়েছেন অনেক মানুষজন।

জরুরীসেবার জন্য যে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়েছে পৌর নাগরিকদের জন্য সেটাও জানেন না তারা।

তবে কোন কোন এলাকায় করোনার সময় কিছু সাবান ও মাক্স পেয়ে ছিলেন তাও আবার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।

পৌরসভার সাবালিয়া এলাকার দরিদ্র দিপালী রানী অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালান।

টাঙ্গাইল পৌর এনায়েতপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, পৌর সভায় এ সব সেবা রয়েছে সেটা আমিসহ এলাকার কেউ জানেন না। কোনদিন এই সেবা কেউ পেয়েছে বলে জানা নেই।

এ বিষয়ে (এস.আর) এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী সেলিমের বক্তব্য নিতে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ দিকে টাঙ্গাইল সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শ্বাস’ এর সমন্বয়কারী সাম্য রহমান জানান, শ্বাসকষ্ট বা জরুরী রোগীদের জন্য পৌরসভায় অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা রয়েছে সেটা জানা ছিল না। এই প্রথম জানতে পারলাম।

টাঙ্গাইল পৌরসভার মশক নিধন কর্মী কুরান আলী জানান, পৌরসভায় কোন অক্সিজেন সিলিন্ডার দেখিনি কখনও। কেনা হয়ে থাকলে এই বিষয়টি সুভাশীষই বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা সুভাশীষ চন্দ্র দাস বলেন, বিভিন্ন সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার টাকা উত্তোলণ করা হয়েছিল ঠিকই।

তবে একটি সিলিন্ডার ব্যতিত কোন সিলিন্ডার নেই পৌরসভায়। সিলিন্ডারের টাকায় ওষুধ কেনা হয়েছে।

অক্সিজেন সিলিন্ডারের টাকায় ওষুধ কেনা যায় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এটা করা যায় না। করার নিয়মও নেই।

কিন্তু সাবেক পৌর মেয়রের নির্দেশনায় এমনটি হয়েছিল।

উত্তোলণ করা বিলে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহওনেয়াজ পারভীনের স্বাক্ষর ও সীল থাকলেও তিনি এ সব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, কেনাকাটার ফাইলে মেয়রের স্বাক্ষর থাকলে সেখানে আমাকেও স্বাক্ষর দিতে হয়। ওই টাকায় কি কিনা হয়েছিল বা কি কেনা হবে এ সব বিষয়ে জানিনা।

কিন্তু সুভাশীষ দাস সরাসরি মেয়রের সাথে কথা বলে ফাইল রেডি করে পাঠাতো। সেখানে মেয়র হিসাব রক্ষকের স্বাক্ষর থাকতো। ফলে সে টাতে অনেক সময় বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর দিতে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের টাঙ্গাইল জেলার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মো. শিহাব রায়হান বলেন, গত (৫ আগষ্টের) পর সরকার আমাকে পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে।

পূর্বের কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়ে থাকলে সেটা আমার জানা নেই। আর স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে আমি জেনে বলতে পারবো।

আর যদি সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা এমন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টা/প্র/অন্তু/নির্বাহী সম্পাদক (১৮ জানুয়ারি)।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরো খবর

- Advertisement -spot_img