দখলে-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে খুলনার বাগেরহাটের মোংলার অধিকাংশ নদী-নালা-খাল। মোংলা উপজেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত পশুর নদীর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ঠাকুরানী খাল দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পানি প্রবাহের জন্য বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত নালাগুলোও দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা।
খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এতে দিন দিন সংকুচিত হয়ে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরানী খাল এখন তার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
এছাড়া বাজারকেন্দ্রিক ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে দূষিত হচ্ছে খালের পানি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে দখলদাররা খাল দখল করে ইমারত নির্মাণ করে ব্যবসা ও বসবাস করে আসছেন। ফলে অনেক খাল মরা খালে পরিণত হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুকনো মৌসুমে সেচ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে করে দখলদারদের হাত থেকে ঠাকুরানী খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার আয়োজনে মোংলা পোর্ট পৌর মেয়রের নেতৃত্বে ঠাকুরানী খালে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
অভিযান চলাকালে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান সাংবাদিকদের জানান, জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত রাখতে হলে নগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব খাল, নালা ও নর্দমা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। এর অংশ হিসেবে মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে এখন ঠাকুরানী খাল ও মধুর খালে অভিযান চালানো হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানও চলবে।
এসময় খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলকৃত স্থাপনা স্বেচ্ছায় দ্রুত অবৈধ দখলকারীদের স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান। এর ব্যত্যয় ঘটলে মোংলা পোর্ট পৌরসভা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
এ অভিযানে মোংলা পোর্ট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।