বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগেই জানতেন পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
রোববার সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক খান বলেন, ‘দুটি মামলা হয়েছে, একটি হত্যার ও একটি বিস্ফোরকের মামলা। বিচারের যে নিয়ম, সেই নিয়ম তো আমাদের পালন করতে হবে। সেটা না হলে আবার অন্য দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমি শুনেছি, বিচারের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পার্টি—আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আমরা দাবি করি, আমরা আশা করি যে, অতি দ্রুততার সঙ্গে এই মামলার মীমাংসা হবে এবং যারা দোষী তাদের কঠোরতম শাস্তি হবে। এর সঙ্গে যারা যারা জড়িত সবার শাস্তি হবে এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনো বাংলাদেশে না ঘটতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতেও নেওয়া হবে।’
মাস্টার মাইন্ডরা একেবারেই বাইরে রয়ে গেছে। আপনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কী মনে করেন যে, তাদের কি কখনো পাওয়া যাবে না—গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হত্যা; মাস্টার মাইন্ডদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি আমরা। ঘটনার পেছনে যারা কুশীলব, কিছুটা তো আমরা জানি কারা ছিল। আমরা জানি, সেদিন ঘটনার কিছু পূর্বে বেগম জিয়ার বাসা থেকে একটি কালো রঙের গাড়ি কোনো প্রোটকল না নিয়ে বেরিয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়ে তিনি জানতেন ঘটনা ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য কাজ চলছে। যারা এর পেছনে আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে।’