দ্বাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে। আগামীকাল শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে বর্ধিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গঠিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে কারা যুক্ত হচ্ছেন সে তথ্য জানা না গেলেও শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবভনে তাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে।
সূচিতে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগদানের কথা উল্লেখ রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১১ জানুয়ারি শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা। বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ৩৭ সদস্যের এ মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই। একাদশ সংসদের মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৯ সদস্যের।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের দুই দফায় (৪৮ ও ২ জন) শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর থেকে মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর বিষয়টি নেতাকর্মীদের মুখে মুখে আলোচিত হতে থাকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৪টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পেয়েছে। একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এরপর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে দলটি। শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
গত সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৭ জন। গতবারের ১৪ মন্ত্রী, নয়জন প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।