প্রবাহ ডেস্ক :
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের পথ।
এই পথেই ঈদুল ফিতরে উত্তরের ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন যাত্রী ও চালকরা।
এ সড়কে ছয় লেনের কাজ চলায় এবং কয়েকটি বাজার ও ছোট ছোট সংযোগ রাস্তা থাকায় দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে।
হানিফ পরিবহনের বাসচালক মোখলেছ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে কোনো সমস্যা হয় না।
তবে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত যেতে সমস্যা হয়ে যায়। এ রাস্তায় অনেক চালক আছে যারা গাড়ি ওভারটেকিং করার সময় উল্টো পাশে প্রবেশ করে।
ফলে যানজট লেগে যায়। আমরা চাই এক লেনে রাস্তা হোক। তাহলে ভালোভাবে সেতু পর্যন্ত যেতে পারব।
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, এবার ঈদে গাড়ির চাপ কমাতে শুধু উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য মহাসড়কের এ অংশটি বরাদ্দ থাকবে।
ঢাকাগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা প্রবেশ করবে। এতে করে যানজট অনেকটা কমে যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যানবাহনগুলো চার লেন সড়কের সুবিধায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু এলেঙ্গার পর থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন। চার লেনের যানবাহন দুই লেন সড়কে প্রবেশের সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।
যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যাত্রীরা যানজটে আটকা পড়লে মহাসড়কের পাশে পেট্রোল পাম্প, হোটেল রেস্তোরাগুলোতে যাতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারে সে জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সড়কের পাশে পাম্প, রেস্তোরাঁ নেই। তাই এই অংশে ২৫টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হবে।
এবার ঈদে ৭০০ পুলিশ হাইওয়েতে ডিউটি পালন করবে। অনেক ব্যবসায়ীরা ফাঁকা রাস্তায় ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়তে পারে।
সে জন্য সব পুলিশ ঈদের সাত দিন আগে থেকে ঈদের পরের দুদিন পর্যন্ত হাইওয়েতে ডিউটি করবে।
মোনায়েম গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রবিউল আওয়াল বলেন, আমাদের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
এখন প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের আগে আমরা চার কিলোমিটার রাস্তা ছেড়ে দিব।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যখন সেতুর ওপর গাড়ির চাপ পড়ে তখন টোল আদায়ে সমস্যা দেখা দেয়।
তখন সাময়িক টোল বন্ধ থাকে। এবার টোল বক্স বৃদ্ধি করে ৮ থেকে ১০টি করা হয়েছে।