প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজী আশরাফুল আলম খুনের ঘটনায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ও মির্জাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাজী আশরাফুল আলমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও তার ছেলে প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ।
মির্জাপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের কুরনী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কহিনুর বেগমকে এবং টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেপ্তার করে।
বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই ভাই কাজী আশরাফুল আলম ও কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ নিয়ে গত ১ সপ্তাহ যাবত ঝগড়া চলছিলো।
বিষয়টি কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুলের ছেলে প্রকৌশলী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ জানতে পেরে রোববার বিকেলে বাড়ি আসেন।
পরে সন্ধায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে চাচা কাজী আশরাফুল আলমের পরিবারকে গালিগালাজ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে ইফতারের আগ মুহূর্তে আশপাশের বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
পরে রাতে কাজী আশরাফুল আলম এশার নামজ শেষে নাতি মারুফকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসে।
এ সময় পলাশ পেছন থেকে তাকে শুকনা মরিচের গুড়া মেশানো পানি ছুড়ে মারে। কাজী আশরাফুল আলম মরিচের যন্ত্রনায় ছটপট করতে থাকে।
তখন পলাশ তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল আরিফ বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, মঙ্গলবার রাতে মামলার আসামি কহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকা থেকে কাজী কামরুজ্জামান পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।