প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি জেলা প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পুলিশি বাধার মুখে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আওয়ামী লীগের কোনো পক্ষই সমাবেশ করতে আসতে পারেনি। উভয়পক্ষই পৃথক স্থানে সংক্ষিপ্ত সভা করেছে।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশের আহ্বান করে।
তাদের দাবি ছিল, ধর্ষণ মামলার আসামি শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে একই সময়ে একই স্থানে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এর সমর্থনে ছিলেন বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
প্রশাসন কোনো পক্ষকেই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান ব্যবহার করার অনুমতি না দিলেও উভয়পক্ষই সেখানে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির আদালত পাড়াস্থ বাসভবনের সামনে সকাল থেকে সমবেত হতে থাকে।
অপরদিকে, ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা পৌরসভা এবং থানা পাড়া এলাকায় জড়ো হয়।
এ দিকে সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ পৌর উদ্যান এলাকায় অবস্থান নেয়।
সকাল ১১টার দিকে সংসদ সদস্য ছোট মনিরের বাড়ির সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে তারা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কেন্দ্রীর যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মামুন অর রশিদ, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ ও আমিনুর রহমান আমিন, মাওলানা ভাসানীর নাতী হাসরত খান ভাসানী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, শান্ত টাঙ্গাইলকে অশান্ত করার মধ্য দিয়ে কিছু চক্রান্তকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলা কার্যক্রমকে বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তারা খুনী চক্রের ক্রীড়ানক হয়ে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের প্রতিহত করা হবে বলেও ঘোষণা করেন বক্তারা।
অপরদিকে, একই সময় টাঙ্গাইল পৌরসভা ভবনের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের বিচারের দাবিতে মিছিল বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরের নেতৃত্বে মিছিল পৌরসভার চত্বর থেকে রাস্তার নামার পরে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে তারা পৌর ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল পৌর সভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকরাম হোসেন ও মানবাধিকার কর্মী মাহবুদা শেলী।
এ সময় বক্তারা বলেন, বড় মনির বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ মামলা রয়েছে।
তার কারণে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয়।