2:27 am, December 24, 2024

মির্জাপুরে এনএসআইসহ বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণায় আটক ১

প্রবাহ ডেস্ক :

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় হারুন অর রশিদ নামে এক প্রতারককে সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এনএসআই) এর এডি পরিচয় দিয়ে দিয়ে এই প্রতারনা করেন।

হারুন অর রশিদ উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের চুহাত্তর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে। 

সোমবার রাতে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের ভুক্তরা তাকে ধরে ৯৯৯ এ ফোন দেয়।

পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, হারুন অর রশিদ প্রায় দেড় বছর আগে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এনএসআই) এর এডি পরিচয় দেয়।

এতে করে সাধারণ মানুষ তাকে সহজেই বিশ্বাস করে। ভূয়া পরিচয়ে নিজের গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে  তোলেন হারুন।

পরে চাকরি দেয়ার কথা বলে অনন্ত ২৫/৩০ জনের কাছ থেকে সর্বনিন্ম ২ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। 

স্বর্ণের ব্যবসার কথা বলে ঘুগী গ্রামের মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে সে অভিযোগ করে।

দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর হারুন অর রশিদ গত রোববার রাতে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। খবর পেয়ে কয়েকজন পাওনাদার ওই গ্রামে গিয়ে তাকে ধরে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে নিয়ে আসে।

পরে সোমবার সকালে সেখান থেকে প্রতারক হারুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাওনাদাররা তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।

এ দিকে পাওয়নাদাররা টাকা ফেরত পেতে হারুনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে পরিবারের কেউই আসেনি।

পরে পাওনাদাররা ৯৯৯ এ ফোন করে হারুনকে মির্জাপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

মির্জাপুর মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা লুবনা আক্তার ও জামুর্কী গ্রামের মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের চাকরি দেয়ার কথা ১২ লাখ করে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হারুন।

কিন্ত দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চাকরি দেয়ার নাম নেই। একই অভিযোগ করেন উপজেলা জুগীরকোফা গ্রামের জাকির হোসেন। বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. ফয়সাল খান প্রতারনার অভিযোগে ৯৯৯ এ ফোন করে থানা পুলিশে সোর্পদ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রামকৃষ্ণ দাস জানান, আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরো খবর

- Advertisement -spot_img