প্রবাহ ডেস্ক :
আসন্ন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী এস এম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি হলফনামায় তিনি ছয়টি মামলা চলমান থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।
এর মধ্যে তিনটি চেক ডিসঅনার মামলা। এ সব মামলা টাঙ্গাইল আদালতে চলমান রয়েছে।
তবে ঢাকায় দায়ের করা অপর একটি চেক ডিসঅনার মামলায় এস এম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৯ মার্চ মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরবর্তীতে গত ২২ এপ্রিল ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, ৩য় আদালত তাকে ছয় মাসের সাজার আদেশ দেন।
কিন্তু প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি এই সাজার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ করেননি।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে পুরো নির্বাচনী এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে টনক নড়ে মুজাহিদুল ইসলামের।
প্রার্থিতা টিকিয়ে রাখতে কৌশলে গত ২৭ মে ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
এ দিকে জামিনের কাগজে বিচারকের করা স্বাক্ষর এবং সাজার আদেশপত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে কোনো মিল না থাকায় এ নিয়েও চলছে সমালোচনা।
বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামায় যে কয়টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন তার বেশিরভাগই প্রতারণা মামলা। তাই এই জামিনের বিষয়টিও এরকম হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে নির্বাচনী সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম মুজাহিদুল ইসলাম মনির জানান, ঢাকার মামলাটি আমি অবগত ছিলাম না।
এ কারণে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। তবে ওই মামলা তিনি জামিন নিয়েছেন। সেই জামিনের কপি মির্জাপুর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। রিটানিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এ বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ জকি জানান, যাচাই-বাছাইয়ের সময় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। এখন প্রতীক বরাদ্দ হয়ে গেছে।
এ নিয়ে এখন তাদের কিছুই করার নেই। তবে আদালতে কেউ যদি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে।