প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধরে মসজিদে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত ২০ জন।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের স্থলবল্লা গ্রামের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার লোকজনের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে থানা–পুলিশ ও ডিবি পুলিশ অবস্থান করছে।
নিহত মনোয়ারা বেগম স্থলবল্লা উত্তরপাড়ার শওকত মিয়ার স্ত্রী। আহতদের মধ্যে উত্তরপাড়ার ১০ জন ও দক্ষিণপাড়ার ৫ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
েদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরপাড়ার মিনহাজ উদ্দিন (৩৭) ও বিল্লাল (৫৫) নামের দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের স্থলবল্লা উত্তরপাড়ার শুকুর, জালাল, কালাম ও বিল্লালের সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আনু, সেলিম, শফি, এনামুল হক ও রাসেলদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গরুর হাট থেকে ফিরছিলেন উত্তরপাড়ার জহিরুল, আয়নাল, আলাল, মজিবর ও ঠান্ডু।
এ সময় তাদের পথরোধ করেন দক্ষিণপাড়ার এনামুল হক, আনু, রাসেল, বাদল, সেলিম সানাউল্যা ও সানুসহ কয়েকজনে। এ সময় তারা উত্তরপাড়ার জহিরুলকে মারধর করেন।
পরে আজ বুধবার সকালে মসজিদে মাইকিং করে দা, ফালা, টেটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উত্তরপাড়ার আনোয়ারের বাড়িতে হামলা চালায় দক্ষিণপাড়ার লোকজন।
এ সময় উত্তরপাড়ার লোকজনে প্রতিহত করতে গেলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মনোয়ারা বেগম নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়।
এ সময় দু-পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরপাড়ার জহিরুল, আয়নাল, আলাল, মজিবর ও ঠান্ডু গরুর হাট থেকে ফেলার সময় দক্ষিণপাড়ার এনামুল হক, আনু, রাসেল, বাদল, সেলিম, সানাউল্যা ও সানুসহ কয়েকজনে মিলে তাদের পথরোধ করে।
এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়। পরে বুধবার সকালে আবার দক্ষিণপাড়ার লোকজনেই মসজিদে মাইকিং করে উত্তরপাড়ায় হামলা চালায়। আমার বোন ঝগড়া ফেরাতে গিয়েছিল।
এ সময় মাথায় ফালার আঘাতে আমার বোন গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি নিজেও মাথায় আঘাত পেয়েছি।
এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
বাসাইল থানার উপ-পিরদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি।
এ ঘটনায় দু-পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ আতিক বলেন, হাসপাতালে একজনের মরদেহ রয়েছে। আহত অবস্থায় কয়েকজনকে আনা হয়েছে।
তাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।