প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক মো. কামরুলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিক।
অভিযোগপত্র থেকে জানাযায়, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগম এর অফিস সহায়ক মো. কামরুল, পিতা-মৃত মুজাফর আলী গ্রাম-কাগমারী পাড়া, ডাকঘর-শিয়ালকোল।
কামরুল গরিব ঘরের সন্তান তার এক ভাই চায়ের দোকান করেন। হঠাৎ উপজেলা পরিষদের চেযারম্যান আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছাঃ নার্গিস বেগম উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহন করেন।
তিনি নতুন কিছু না বুঝার সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শুধু মাত্র কাগজ কলমে দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় অফিস সহায়ক মো. কামরুল।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি চুপ থাকেন। এবং তিনি বলেন স্বাক্ষরগুলো আমার নিজের।
অভিযোগপত্র থেকে আরো জানাযায়, অফিস সহায়ক কামরুল ঢাকা মোহাম্মদপুরে ২১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছে। যার মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
গাজীপুর উপজেলা শ্রীপুরের মাধখোলা শিল্প এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনেছে। যার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ টাকা অফিস সহায়ক কামরুলের বিভিন্ন একাউন্টে জমা রয়েছে।
তার একাউন্ট তদন্ত করলে টাকা গুলো বের হয়ে আসবে। কামরুল বলে আমি পিয়ন তাই উপজেলা পরিষদ চালাই। চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম কিছুই বুঝে না।
এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবিহত হলে তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন কামরুল অফিস সহায়ক কে বদলী করা উচিত। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, যদি এই কামরুলকে বদলী করেন তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।