প্রবাহ ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে, গত (২০ জুলাই) থেকে (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ দিকে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরসহ কয়েকটি ঘটনায় টাঙ্গাইলে চার থানায় ১০টি মামলা হয়েছে।
পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক নেতারা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় মামলা গুলো করেন।
মামলায় ৪২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ জনকে।
পুলিশ সূত্রে, গত ১৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এ ছাড়াও শহরের নিরালা মোড় এলাকায় পুলিশ বক্স, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পুলিশ বক্স ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করাসহ পুলিশ ওপর হামলা করে আন্দোলনকারীরা।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে গত (১৯ জুলাই) রাতে নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ছাড়াও গত (১৮ জুলাই) আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম গত (২০ জুলাই) নাম না জানা ২০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বাদী ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত (১৯ জুলাই) দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আশরাফউল্লাহ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ২৫০ জনকে আসামি করে কালিহাতী থানায় গত ২১ জুলাই মামলা করেন।
এ ছাড়াও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ জুলাই মামলা করেন।
সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে গত ১৯ জুলাই এসআই মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা করেন।
আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কেয়ারটেকার জামাল হোসেন বাদী হয়ে ৯৬ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে গত (২০ জুলাই) মধুপুর থানায় মামলা করেন।
একই দিন শ্রমিক অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে শ্রমিক নেতা মনছের আলী বাদী হয়ে ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ ছাড়া, সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে (১৯ জুলাই) ধনবাড়ী থানায় এসআই জহিরুল ইসলাম মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলা গুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।