প্রবাহ ডেস্ক :
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা তিন ম্যাচ হারের পর সবশেষ ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। ১ গোলের সেই জয়ের পর কোচ দরিভাল জুনিয়র জানিয়েছিলেন, তাঁর দল অবশ্যই ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে।
কিন্তু সেলেসাওদের নিয়ে এমন আত্মবিশ্বাস দেখানোর পরের ম্যাচেই লজ্জার হার দেখতে হলো তাকে। আজ সকালে পুঁচকে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরেছে ব্রাজিল। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ হার।
২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে দরিভাল নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর দল অবশ্য আগামী বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে। এমনকি তাঁর এমন ভবিষ্যদ্বাণীর ভিডিও করেও রাখতে বলেছিলেন তিনি।
আজ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ না হতেই দরিভালের এমন কথা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা আর ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ। দলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগোদের মত গোল স্কোরার, আলিসন বেকারের মত গোলরক্ষক, রক্ষণে মার্কিনিওস, গ্যাব্রিয়েল, দানিলোদের মত ফুটবলাররা থাকার পরও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের জাত চেনাতে পারেনি সেলেসাওরা।
ফুটবলের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিলের অবস্থান এখন ৫ নম্বরে। অন্যদিকে প্যারাগুয়ে আছে ৬২ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষেও এমন হারের কারণে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে শুরুতে দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিলই।
তবে বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনি-রদ্রিগোরা। উল্টো ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল হজম করতে হয় সেলেসাওদের।
ম্যাচের ২০ মিনিটে ব্রাজিলের রক্ষণ থেকে হেডে ক্লিয়ার করা বল বক্সের বাইরে পেয়েছিলেন প্যারাগুয়ের ডিয়েগো গোমেজ। সেখান থেকে ট্রিভেল্লা শট নেন তিনি, বুটের মাথা দিয়ে নেয়া সেই শট পোস্টে লেগে জালে জড়ায়, চেষ্টা করেও রুখে দিতে ব্যর্থ হন আলিসন বেকার। ইন্টার মিয়ামির ফুটবলারের করা এই গোলে লিডের দেখা পায় প্যারাগুয়ে।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধে সমতায় ফিরতে লড়াই করেছে ব্রাজিল। তবে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা সাফল্যের দেখা পাননি। বিরতি থেকে ফেরার পর দ্বিতীয়ার্ধেও ডেডলক খুলতে পারেননি সেলেসাওরা।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে পুরো ম্যাচে ৭১ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ব্রাজিল। গোল করতে শট নিয়েছে ৯টি, কিন্তু প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত রক্ষণের কারণে লক্ষ্যে শট ছিল কেবল ৩টি।
অন্যদিকে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডদের মত রক্ষণভাগও আজ হতাশই করেছে। ২৯ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণে রাখা প্যারাগুয়ে শট নিয়েছে ৭টি যার ২টিই ছিল লক্ষ্যে। এই হারে কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে নেমে গেছে ব্রাজিল। পাঁচ ম্যাচের চারটি হারা সেলেসাওদের পয়েন্ট এখন ৮ ম্যাচে ১০।