প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ধানখেত এবং কালিহাতী উপজেলায় রেললাইনের পাশ থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় ধানখেতের পাশ থেকে কিশোর শামীমের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শামীম ঘাটাইল উপজেলার ভানিকাত্রা গ্রামের ভ্যানচালক করিমের ছেলে। কাইতকাই এলাকায় ধানখেতের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। শামীম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন ঝড়কা বাজারে পোল্ট্রির দোকানে কাজ করত। সে মাঝে-মধ্যে অন্যের গাছের ফল চুরি করত।
যে বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সে বাড়িতে কেউ ছিল না। তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শামীমকে কেউ হত্যা করে সেখানে ফেলে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি ঘাটাইলে দুই দিন পরপর হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বানিয়াপাড়া এলাকায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে একজনের মরদেহ পাওয়া য়ায়। সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত সৈয়দ মিয়া (২৪) কিশোরগঞ্জ সদরের মতিউর রহমানের ছেলে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা-ছেঁড়ার চিহ্ন ছিল। একই দিনে কাশতলা ভিটিবাড়ি এলাকার একটি জলাশয়ের কচুরিপানার নিচ থেকে সাজ্জাদ হোসেন (৪০) নামের একজন ওষুধ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাজ্জাদ ঘাটাইল উপজেলার কাশতালা গ্রামের ইছহাক আলীর ছেলে। টাঙ্গাইল পৌরসভার বটতলা এলাকায় ওষুধের দোকান আছে সাজ্জাদের। সাজ্জাদের কপালে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃত্যু ট্রেনে কাটা পড়ে হয়েছে, নাকি অন্যভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেছেন, রেললাইনের পাশে পড়েছিল এক বৃদ্ধের মরদেহ। যেহেতু মরদেহটি রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল, সেহেতু বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা মরদেহটি উদ্ধার করেছেন।