প্রবাহ ডেস্ক :
গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত নানা ঘটনা বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং দুই পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ।
এ সব ঘটনাসহ গত দেড় মাসে নানা জায়গায় সংগঠিত অপকর্মে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং অন্যতম অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে দুষছেন ছোটপর্দার আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে এসব ঘটনায় নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চমক লিখেছেন, ‘পাহাড়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাহাড়িদের উসকানিদাতা কে? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা। বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ।
ঘটনার জন্য দায়ী কে? গোপালগঞ্জের হুজুর। কয়েকটা বাস ভাড়া করে গোপালগঞ্জ থেকে লোক নিয়ে এসেছে। ঢাবিতে হলের ভেতর যুবককে পিটিয়ে হত্যা। অন্যতম হামলাকারী কে? ছাত্রলীগের সাবেক নেতা (সঙ্গে আরও কিছু শিক্ষার্থী)।
অভিনেত্রীর ভাষ্যমতে, এরপরও যখন কোনো ঘটনার পর কাউকে প্রমাণসহ বলা হয় যে, এই লোকতো লীগের। তখন এসে কমেন্ট করে বসে, আগে সবাই শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করতো, এখন লীগ ট্যাগ দিয়ে করে। কীরে ভাই, দুইটার প্রেক্ষাপট কি এক হলো? যাদের জন্মগত স্বভাব মারামারি, গেঞ্জাম লাগানো, এরা কি এতো সহজেই তাদের চিরাচরিত স্বভাব পরিবর্তন করতে পারবে?
চমকের পোস্টের এই বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একাত্মতা পোষণ করেছেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সমালোচনা করেছেন। আবার কেউ কেউ অভিনেত্রীর সমালোচনাও করেছেন। যদিও কারও সমালোচনার কোনো জবাব দেননি চমক।
অন্য একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমরা জাতি হিসেবে এতো হিংস্র হলাম কবে থেকে ? শান্তি, পারস্পরিক সহনশীলতা, মানবতা, মায়া-দরদ, মানুষকে বোঝার চেষ্টা করা- এই ব্যাপারগুলো যদি প্র্যাকটিস না করা হয়, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাবেন, ভেবে দেখেছেন?
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৈরি করেছেন জনমত।
এরপর (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পতনের দিন মাথায় পতাকা বেঁধে রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে দেখা গেছে চমককে। তার জন্যও নেটিকেনদের একাংশের বাহবাও পেয়েছেন।