প্রবাহ ডেস্ক :
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার (নির্জন)।
নিহত তানজিম ছারোয়ার এর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিহত তানজিম ছারোয়ার (নির্জন) এর পিতার নাম সরোয়ার জাহান ও মাতা নাজমা বেগম।
বীর এই সেনার মৃত্যু সংবাদে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা, পরিবারের অন্য সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিতে তার বাড়িতে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা ও আশেপাশের মানুষ।
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারের মরদেহ আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়িতে আনা হয়েছে।
পরে বোয়ালী মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ শেষে আছরের নামাজের পর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করের বেতকা গ্রামের বোয়ালী মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার আগে এই সেনা সদস্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
নিহত সেনা কর্মকর্তার মা জানান, পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সাথে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে গত ২০২২ সালের ৮ জুন আর্মি সার্ভিস করে (এএসসি) কমিশন লাভ করেন তানজিম ছারোয়ার।
এ সময় নিহতর মা ও তার পরিবারের লোকজন এই হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পায় সেনাবাহিনী।
পরে দ্রুত চকরিয়া ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযানে যায়। আনুমানিক ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় ৭ থেকে ৮ জন সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। এতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এই সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টা/প্র/অ/২৪.৯.২০২৪
