প্রবাহ ডেস্ক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মা ও মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে মৌখিক অভিযোগ জানানোর পর তাদেরকে হেফাজতে নেয় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
সে সময় গত (২০ অক্টোবর) রাতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।
পরে এ ঘটনায় জড়িত হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২) নামের স্থানীয় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কভার্ড ভ্যান চালক স্বামী সাধারণত বাইরে থাকায় বাড়িতে মেয়ে (১৭) ও দেবরকে (২১) নিয়ে থাকতে হয় ওই নারীকে। তাদের বাড়ির আশপাশে তেমন বাড়িঘর নেই।
অভিযোগকারী নারীর ভাষ্য, গত রোববার রাত ১১টার দিকে তার বাড়িতে আসে একই ইউনিয়নের ৬ যুবক। তারা ঘরে ঢুকে তার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে ও তার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
নারীর অভিযোগ, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুরপাড়ে। তিনজন তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন চালায় ওই যুবকেরা।
যাওয়ার সময় নির্যাতনকারীরা ঘর থেকে টাকা-পয়সাসহ জিনিসপত্র লুট করে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তারা হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় সমাজপতিদের জানিয়ে বিচার চান তিনি।
কয়েক দিন গেলেও সমাজপতিরা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করার কথা জানিয়েছেন ওই নারী।
রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে ধরা হয়েছে। রাতেই ওই দুজনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মা।
শারীরিক পরীক্ষার জন্য আজ মা-মেয়েকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।