প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর এর উপর হামলার মামলায় রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পশুপতি বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসেছিলেন মুক্তি।
হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে বিকেলে টাঙ্গাইল আদালত এলাকা থেকে তাকে আটক করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
পরে শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হকের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা রোববার রিমান্ড আবেদনে শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
তবে হামলার দিন মুক্তি আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আদেশের পর সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ জানান, ২০২১ সালের (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি নূরুল হক নুরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
এ সময় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদি হয়ে (১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি শাকিল উজ্জামান বলেন, সাবেক মেয়র মুক্তির নাম এজহারে ছিলো না। মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পুলিশ কি কারণে গ্রেপ্তার করেছে এই বিষয়ে আমার জানা নাই। আইনত তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করার সুযোগও আমার নাই।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রকৃত আসামিকে সনাক্ত করবে।
তবে আমি বলতে চাই বিগত দিনে আওয়ামী লীগ অন্যায় ভাবে গণহারে মানুষকে নির্বিচারে যেভাবে সাজা দিয়েছে সেই রকম যেন না হয়।
হামলায় প্রকৃত যারা দোষী তাদের বিচার আওতায় আনা হোক। নিরপরাধ কাউকে যেন সাজা না দেওয়া হয়।
গণঅধিকার পরিষদ সব সময় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে ও টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান মুক্তি গত (২২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন লাভ করেন।
পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
পরে বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে তিনি অ্যাম্বুলেন্সযোগে আদালতে আসেন।
হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আদালত চত্ত্বরের বাইরে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টা/প্র/অ/(৩ নভেম্বর)।