কালিহাতী প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভা অধীনস্থ কুষ্টিয়া গ্রামে মরহুম কাজীম উদ্দীন খানের পুত্র মো: জুরান আলী খান (পীর) বসবাস করেন।
তিনি পেশায় এক জন চাউলের আড়ৎদার মানুষ বলে জানাযায়।
সরজমিনে, কালিহাতী উপজেলার অন্তর্ভুক্ত পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামে বসবাসকারী মো: জুলহাস ড্রাইভার, ছেলে রায়হান এবং সাংবাদিক মনির হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ পাশ্ববর্তী গ্রামে অবস্থানরত জুরান আলী খানের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি করে।
কিন্তু এদের চাঁদা দাবির অত্যাচারে জুরান আলী খান গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিভিন্ন গনমাধ্যমকে জানান।
ঘটিকার সময় আকস্মিকভাবে তার বসবাড়িতে ঢুকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বুকে পাড়া দিয়ে পিস্তল ও দা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পরে জুরান আলী খানের চিৎকারে আশে-পাশের মানুষ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় ভীতিকর পরিবেশ এড়িয়ে বাঁচার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে গত (২৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী থানা আমলী আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়- মো: রায়হান (২৪), পিতা: মো: জুলহাস ড্রাইভার, মো: জুলহাস ড্রাইভার, পিতা: বাদশা মিয়া, সাংবাদিক মনির হোসেন (৩২), পিতা: আরশেদ আলী। আসামীরা সবাই কালিহাতী উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জুরান আলী খান জানান, সাংবাদিক মনির হোসেনের নেতৃত্বেই এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এমন অপ্রতিকর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে করছি।