প্রবাহ ডেস্ক :
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০ বছর পূর্ণ হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তবে তার কাছে যে বয়স একটা শুধুমাত্র সংখ্যা এটা আগেও বলেন। যে কারনে ওসব নিয়ে ভাবেন না। তাই তার প্রভাব এখনও পড়েনি মাঠের ফুটবলেও। সেই চির তরুণের মধ্যেই দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন সিআর সেভেন।
অবসর নিয়েও তাই কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই পর্তুগিজ মহাতারকার। যদিও আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে সেই মুহূর্ত আসার আভাস দিয়ে রাখলেন তিনি।
ঘরের মাঠে গত শুক্রবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যআচে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। তাদের হয়ে সেদিন জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো। ৭২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে জাল খুঁজে নেওয়ার পর ৮৭তম মিনিটে নজরকাড়া বাইসাইকেল কিকে নিশানা ভেদ করেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি জয়ের কীর্তি এখন একক ভাবে রোনালদোর। তিনি পর্তুগালের হয়ে জিতেছেন ১৩২টি ম্যাচ। পাঁচবারের ব্যালন দি’অরজয়ী ফরোয়ার্ড টপকে গেছেন সার্জিও রামোসকে। ক্লাব পর্যায়ে দুজন একসঙ্গে লম্বা সময় খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ২০২১ সালে অবসরে যাওয়া স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস জিতেছেন ১৩১টি ম্যাচ।
অবসর প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে রোনালদো বলেছেন, তেমন কিছু ভাবছেন না তিনি, ‘আমি স্রেফ উপভোগ করে যেতে চাই। অবসরের পরিকল্পনা জানতে চান? যদি এটা হতেই হয়, আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে… আমি আসলে জানি না।
বর্তমানে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে খেলা তারকা যোগ করেছেন, যখন আর উপভোগ করবেন না, তখন খেলা ছেড়ে দেবেন, ‘শিগগিরই আমার বয়স ৪০ হবে সত্যিই উপভোগ করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি অনুপ্রাণিত বোধ করব, ততক্ষণ খেলা চালিয়ে যাব। যে দিন আর নিজের কাছ থেকে প্রেরণা পাব না, অবসর নিয়ে ফেলব।
ফুটবল ক্যারিয়ার ইতি টানার পর কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর কোনো পরিকল্পনাও নেই রোনালদোর।
তবে সিদ্ধান্তটা ছেড়ে দিলেন ভবিষ্যতের হাতে, নিজেকে কোনো ক্লাবে কোচিং করাতে দেখছি না আমি। এটা আমার পরিকল্পনার মধ্যে নেই। আমার ভবিষ্যৎ ফুটবলের বাইরের অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে। তবে কী ঘটবে তা সময়ই বলে দেবে।