প্রবাহ ডেস্ক :
সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করার জন্য ৩০ লাখ টাকার সুদমুক্ত গাড়ি ঋণ চালু করে সরকার। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ দেয়া হয় মাসে ৫০ হাজার টাকার বিল।
এ ছাড়া রয়েছে প্রতিবছরে ১০ শতাংশ অবচয় সুযোগ আর অন্যান্য ভাতাও। সব হিসাব মিলিয়ে নির্ধারিত ৮ বছর শেষে বলতে গেলে নিজের কোনো ব্যয় ছাড়াই গাড়ির মালিকানা পান একজন কর্মকর্তা। বিষয়টিকে অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক বলছেন বিশ্লেষকরা।
কাজে অকাজে কর্মকর্তাদের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের রেওয়াজ বেশ পুরোনো। বাচ্চার স্কুল, বাসার বাজার, স্ত্রীর শপিং কিংবা ঘুরতে যাওয়া-অপব্যবহারের ধরনও বহুমাত্রিক।
বছর দশেক আগে চালু হওয়া এককালীন ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা চালুর মাধ্যমে অনিয়মের নতুন মাত্রা যোগ হয়। যা পান উপসচিব থেকে সিনিয়র পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। বিপরীতে এককালীন দিতে হয় ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ। এরপর ১২০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় ঋণের পুরো টাকা।
সরকারি ঋণে কেনা গাড়িতে আট বছর পর্যন্ত মেলে ১০ শতাংশ অবচয় সুবিধা। ফলে সবমিলিয়ে একজন কর্মকর্তাকে পরিশোধ করতে হয় মাত্র ১২ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, রক্ষণাবেক্ষণের নামে প্রতিমাসে মেলে ৫০ হাজার টাকা। শর্ত সাপেক্ষে পাওয়া যায় যাতায়াত ভাতাও। ফলে ড্রাইভারের বেতন ও তেল-গ্যাসের খরচ দিয়েও অনেকসময়ই যেটুকু বাচে তা দিয়েই পরিশোধ করা যায় ঋণের অর্থ।
সাবেক সচিব আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, আমরা দুর্নীতি বন্ধ করতে চাই। সুশাসনের দিকে যেতে চাই, সে ক্ষেত্রে সিনিয়র কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতি করেন তাহলে অন্য জায়গায় দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন হয়ে যায়।
ঋণ সুবিধা নেয়ার পরও দপ্তরের গাড়ি ব্যবহার করছেন এসব কর্মকর্তার বড় অংশ। যা বন্ধে গেলো ২ সেপ্টেম্বর কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। যদিও তা মানা হচ্ছে না।