10:07 pm, December 23, 2024

টাঙ্গাইলে খাদ্য অফিসের দারোয়ান বাবার প্রভাব খাটিয়ে কালোবাজারি করছে ছেলে

প্রবাহ ডেস্ক :

টাঙ্গাইলে খাদ্য কর্মকর্তা ও ডিলারদের সিন্ডিকেডে দীর্ঘদিন যাবত সরকারের খাদ্য কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি অভিযোগ রয়েছে। এতে কার্ডধারী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার আরিফ হোসেন নামের এক ডিলার কালোবাজারের মাধ্যমে ২৬ বস্তা চাল বিক্রি করেন।

সেই চাল সদর উপজেলার পাইকমুড়িল গ্রামের আলামিন নামের এক ব্যবসায়ী কিনে নেন।

অভিযোগ রয়েছে, আলামিলের বাবা পৌর শহরের বিশ্বাস বেতকা ফুড অফিসের দারোয়ানের চাকরী করার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কালোবাজারের মাধ্যমে কিনে নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেন।


এ দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন গ্রাহক বলেন, সকাল থেকে অনেক সময় আমরা চালের জন্য লাইনে থাকি। দুপুর ১২ টার মধ্যে চাল শেষ হয়েছে বলে জানান ডিলাররা।

তবে তারা সিন্ডিকেড করে চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন। খাদ্য পরিদর্শকরাও এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় ডিলাররা অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন।

এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন গ্রাহকরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেন, আমি চাল গরুকে খাওয়ানোর জন্য কিনেছি। কোন কালোবাজারির সাথে আমি জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মো. মুসা বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে বিক্রি হয় না।

গরুর খামারে বা বাইরে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে এ রকম কেউ করলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

আলামিনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পরও বিশ^াস করতে অনীহা প্রকাশ করেন খাদ্য কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টা/প্র/অন্তু (৪.১২.২০২৪)।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরো খবর

- Advertisement -spot_img