1:24 am, December 27, 2024

প্রতারণা করে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রবাহ ডেস্ক :

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কলেজছাত্রী রিয়া আক্তারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম।

পরে বিভিন্ন কৌশলে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।

পরে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়েও করেন। তা ছাড়াও এক সঙ্গে বসবাস করেন।

সম্প্রতি অন্য থানায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করছেন জাহাঙ্গীর।

গত (৬ জুন) ১৫ লাখ টাকার দেনমোহরে ঢাকার রায় সাহেব বাজারের কাজী মাওলানা মো. সাদেক উল্লাহ ভুইয়া তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার  ডুবাইল গ্রামের রাজা খানের মেয়ে ও করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্রী রিয়া আক্তার।

পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বলদিঘাট এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

জাহাঙ্গীর আলম নাগরপুর থানা থেকে গত (২৯ সে‌প্টেম্বর) বদলি হয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় যোগদান ক‌রে‌ছেন।

এ দিকে কলেজ ছাত্রী প্রতারণা ও তথ্য লুকিয়ে বিয়ে করার প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার, ফরিদপুর পুলিশ সুপার ও নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।

গত (২৪ ন‌ভেম্বর) টাঙ্গাইল আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন তিনি কলেজ ছাত্রী রিয়া আক্তার।

এ ছাড়া গত (১৭ ডি‌সেম্বর) ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর আলাদা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে কলেজ ছাত্রী রিয়া আক্তার জানান, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানায় একটি মামলার তদন্ত করতে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামে আমাদের বাড়িতে আসে এএসআই জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয়।

পরে বিভিন্ন কৌশলে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে জাহাঙ্গীর।

পরে ঢাকায় একটি কাজি অফিসে নিয়ে বিয়ে করেন।

এরপর থেকেই আমরা দুই জনে এক সঙ্গে বসবাস করেছি।

পরবর্তীতে নাগরপুর থানা থেকে ফরিদপুরে বদলি হওয়ার পর থেকে কোনো যোগাযোগ করছে না জাহাঙ্গীর। তাদের বাড়িতেও আমাকে নিচ্ছে না।

পরে জানতে পারি তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

বর্তমানে তাকে তালাক দেওয়ার জন্য মোবাইলে বারবার প্রাণনাশ ও মামলার ভয় দেখাচ্ছে।

ভুক্তভোগী রিয়া আক্তার, প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তথ্য গোপন করে বিয়ে করেছে জাহাঙ্গীর।

বিয়ের পর এক সঙ্গেই ছিলাম কয়েক মাস।

গত (৫ আগস্ট) এর পর অন্যত্র বদলি হওয়ায় তার আরেক বিয়ের তথ্য পাই।

বদলি হওয়ার পর থেকেই আমার কোনো খোঁজ খবর নেয় না।

তার স্ত্রী ও সন্তান থাকার পরও প্রতারণা করে আমার জীবন নষ্ট করেছে।

আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই ও স্ত্রীর মর্যাদা চাই।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এবং আদালতেও মামলা করেছি।

এখন তাকে তালাক দিতে বারবার হুমকি দিচ্ছে জাহাঙ্গীর।

বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি আমি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নগরকান্দা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাজী অফিসে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। বিষয়টি আইনি ভাবে সমাধান করা হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন জানান, এএসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় তাকে নাগরপুর থেকে বদলি করা হয়েছে।

বদলি হওয়ার পরই জানতে পারি তিনি রিয়া আক্তার নামের এক জন কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন।

বর্তমানে জাহাঙ্গীর নাগরপুর থানায় কর্মরত নেই সুতরাং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব না।

টা/প্র/অন্তু/(২৬ ডিসেম্বর)।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরো খবর

- Advertisement -spot_img