প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলে ২০ বছর পর পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে বাবার বাড়িতে বউ ও সন্তানসহ অনশন করেছে এক যুবক।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রসুলপুর ইউনিয়ন এর শালিয়াবহ গ্রামের অনশন অবস্থানরত যুবক নাজমুল হক জানায়, ২০০০ সালে আমার জন্ম হয়। জন্মের আগে বাবা এবং মায়ের তালাক হয়।
নাজমুলের মা এর সাথে তালাকের পর হাসীনা খাতুন (৩৫) জলির বিবাহ করেন। নাজমুল তার খালা রিনা বেগমের আশ্রয়ে থাকা শুরু করেন।
সাবালক হওয়ার পর নাজমুল যখন তার বাবার পরিচয় পেতে জলিলের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তখন তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।
দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়ি এসে বাবাকে কাছে পেয়েছেন। তিনি নাজমুলের পরিচয় পেয়ে দুরদুর করে তারিয়ে দেন। ১০ বছর বয়সে আবারও এসে ছিলেন বাবার কাছে। এরপরেও আমার প্রতি মায়া জন্মেনি বাবার। এবার এসেছেন ২৫ বছর বয়সে।
সঙ্গে নিয়ে এসেছি আমার শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে। আমাদেরকে দেখে বাবা এবং সৎ মা আমাদের চিনতে অস্বীকার করে । তাই নাজমুল সন্তানদেরকে নিয়ে জলিলের বাড়িতে অবস্থান করছি আমার পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে।
নাজমুল আরোও বলেন, আমার বাবার জমি চাইনা-জায়গা চাইনা আমি, ঘর চাইনা-বাড়ী চাইনা, আমি শুধু পিতৃ পরিচয় চাই।
অন্যদিকে, জলির ইসলাম বিয়ের কথা স্বীকার করলেও অস্বীকার করেন সন্তানের কথা।
উল্লেখ্য, নাজমুল রহমান তার শিশু সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে পিতার জন্ম সনদের প্রয়োজন। এ জন্য সে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করতে নির্বাচন অফিসে গেলে কোট এভিডেভিড ও অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে পিতার ওয়ারিশন সনদ পত্রের চাহিদা দেখায় সেখানে।
কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় সে জন্মের পর থেকে আজ ২৫ বছর পর্যন্ত পিতার সাথে যোগাযোগ করে পিতৃ পরিচয় নিতে ব্যার্থ হয়ে এ অনশন করেন। জলিরের স্ত্রী হাসিনা খাতুন জলিল এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আক্রমণ শিকার হন নাজমুল হক।
তারপর তিনি ঘাটাইল থানায় অফিসার ইনচার্জ এর নিকট একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন ।
এ দিকে এলাকাবাসী জানান, আনুমানিক ২০ বছর আগে একটা ঘরোয়া শালিস দরবার করে নাজমুল মা এবং জলিলের সম্পর্ক ধামাচাপা দেওয়া হয়। তাই বর্তমানে এলাকাবাসী এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে সত্যি টা সকলের সামনে আসুক এই জোর দাবী জানিয়েছে।