করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকলেও এই ভাইরাসের নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) করোনার সর্বশেষ জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল জানানোর সময় তিনি একথা বলেন। এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ডা. শরফুদ্দিনই।
অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, গবেষণায় যাদের শরীরে কোভিডের নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের ক্ষেত্রে তেমন ‘প্রকট লক্ষণ’ দেখা যায়নি।
তিনি আরো জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছরের শুরুতে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়েছে। বিএসএমএমইউ গত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৪৮ জন রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। গবেষণায় তিনজনের নমুনায় সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন সম্প্রতি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন।
অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, আক্রান্তদের আগেই করোনার দুই ডোজ টিকা নেয়া ছিল।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ করোনার অন্যান্য ধরনের মতোই। তাদের অবশ্য জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং হালকা কাশির উপসর্গ ছিল। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব জানতে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।
এসময় তিনি পরামর্শ দেন, যাদের হালকা উপসর্গ দেখা যাবে, তাদেরও করোনা পরীক্ষা করা উচিত।
ডা. শরফুদ্দিন আরো জানান, নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টে উপসর্গ কম দেখা যায় বলে হাসপাতালে ভর্তির হারও কম।