প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদীতে রাতে মাছ ধরার সময় জেলেদের উপর হামলা করা হয়েছে।
এ সময় জেলেদের জিম্মি করে মোবাইল ও টাকা পয়সা লুটে নিয়েছে ডাকাতদল। এ ঘটনায় তিন জন জেলে আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পলশিয়া গ্রামের মধুসূধন রাজবংশী, শুশান্ত, শাকিল, লিটন ও ঈশ্বর রাজবংশী।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সংলগ্ন যমুনা নদীর কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া এলাকায় হামলা করা হয়।
যমুনা নদীতে প্রতিনিয়ত রাতে ডাকাতি হচ্ছে। রাতে নদীতে নৌ-পুলিশের তৎপরতা না থাকায় নৌপথে চলাচলকারীদের জিম্মি করে ডাকাতি করে।
যমুনা নদীর ওই অংশটুকু দেখভাল করে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।
তবে ভুক্তভোগীরা ঝামেলার কারণে কেউ অভিযোগ দেয় না।
আহতরা বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে নৌকাযোগে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় মধুসূধনসহ ৬ জন জেলে। মাছ ধরার সময় আরেকটি নৌকাযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮ জন ডাকাত তাদের মাছ ধরায় বাধা দেয়।
পরে জেলেদের পরিচয় জানার পর তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইল লুট করে।
এ সময় জেলেরা টাকা ও মোবাইল দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধর করে।
এ ছাড়াও জেলেদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়।
পরে পরিবারের সদস্যরা জেলেদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠায়।
এ সময় নৌকার ইঞ্জিনে থাকা তেলও নিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে জেলেদের নৌকা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।
গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, রাতে নদীতে টহল দেয়ার জন্য স্পিডবোর্ড না থাকায় সেটা সম্ভব হয় না।
তবে দিনের বেলায় নদীতে টহল দেয়া হয়। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ আলমগীর জানান, যমুনা নদী থানার আওতায় পড়ে না। সেখানে সংগঠিত ঘটনাগুলো দেখভাল করে নৌপুলিশ ফাঁড়ি।