প্রবাহ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় তিনি চালক, টোলবুথে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মহাসড়কের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
এ দিকে ঈদের ছুটিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
অন্যান্য বছর ঈদযাত্রায় এই সড়কে লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তির পোহাতে হলেও এ বছর এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় তারা সকাল থেকে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, রসুলপুর, এলেঙ্গা, সল্লা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের টোল প্লাজা ঘুরে কোথাও কোন যানজট দেখতে পাননি।
যানজট না হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা বলছেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের সুবিধা পাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। এবারের ঈদে বেসরকারি ছুটি বেশি। যানজট এড়াতে রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়ক একমুখী করে দেওয়া হয়।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন চার লেনের সড়ক দিয়ে দ্রুত কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চলে আসতে পারে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহন সেতু পার হওয়ার পর ভূঞাপুর হয়ে বিকল্প রাস্তায় এলেঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সমন্বিত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মহাসড়কের আমরা কোন ট্রাক চলাচল করতে দিচ্ছি না। মহাসড়কে কোন থ্রি হুইলার উঠতে দিচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যানবাহন গুলো অপসারণের জন্য আমরা রেকার স্ট্যান্ডবাই রেখেছি।
নির্বিচ্ছ টোল প্লাজা চালু রাখার জন্য জনবলসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সেতুর উপরে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সে বিষয়েও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে।