ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলন করেছে টাঙ্গাইলে শহর বিএনপি। বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে শহর বিএনপির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইজাজুল হক সবুজ।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বার বার দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও দেশে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য বার বার নির্দেশ প্রদান করে যাচ্ছে। একটি কুচক্রি মহল আহমেদ আযমের সম্মান হানি করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে বার বার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এটি অত্যান্ত দুঃখজনক, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
ইজাজুল হক সবুজ আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে শহরের আদালত পাড়া একটি বাসায় কিছু দুষ্কৃতিকারি চাঁদাবাজ ও টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় একত্রিত হয়েছিলো। বাসার মালিকের নিকট হতে সংবাদ পেয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় সেখানে উপস্থিত চাঁদাবাজ ও দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। বাসার মালিক আমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন। বাসার মালিক জানান, তিনি বিসিবির সাবেক সভাপতি পাপনের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্যই দুষ্কৃতিকারীরা চাঁদার জন্য এসেছিলেন। দুষ্কৃতিকারীদের মধ্যে অনেকেই বহিঃষ্কৃত নেতা ছিলেন। যাদের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক ছিলো।
তিনি বলেন, আমরা চলে আসার পর কিছু ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও ইউটিউবে আহমেদ আযম খানকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদ প্রচারের পর আমরা বুঝতে পারি এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমরা যে বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে কারো সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ করা হয়নি। পরে আমরা বুঝতে পারি বাসার মালিক মনা, তিনি পরিকল্পনাকারীদের একজন।
তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিডিয়া ও ইউটিউবে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা বিএনপির কারো বক্তব্য নেয়া হয়নি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পরবর্তীতে নিউজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম প্রমুখ। এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ, সাবেক যুগ্মসম্পাদক আবুল কাশেম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল, সাবেক প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।