প্রবাহ ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ এবং এই সংক্রান্ত আলোচনার মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদত্যাগ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন সিইসি।
সিইসির সঙ্গে চার সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমানও পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমিসহ নির্বাচন কমিশনের সকলেই পদত্যাগের জন্য মনস্থির করেছি। পদত্যাগের কাগজপত্র সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। এখন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সেগুলো জমা দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত থাকলেও বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২০২২ সালে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের পর সেই আইনের অধীনে প্রথম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচজন। ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।