প্রবাহ ডেস্ক :
সিনেমা নির্মাণের পর সেটি জমা দেওয়া হয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। সেখানকার সদস্যরা সিনেমাটি দেখে সেটি থেকে কোনো দৃশ্য বা সংলাপ কর্তনের প্রয়োজন হলে তা সংশ্লিষ্টদের জানান, প্রয়োজন না হলে সিনেমাটিকে আনকাট ছাড়পত্র দিয়ে দেন।
তবে এবার বদলে গেল সেই সেন্সর বোর্ডের নাম।
যদিও পুরোপুরি বদলানো হয়নি। শুধু ‘সেন্সর’ শব্দটা বাদ দিয়ে ‘সার্টিফিকেশন’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। অর্থাৎ, সরকারি প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’।
রবিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, ১৫ সদস্য-বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- আইন ও বিচার বিভাগের সচিব; প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি।
এ ছাড়া রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু; চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন; চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির, চলচ্চিত্র পরিচালক খিজির হায়াত খান, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ।
পুনর্গঠিত এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে নির্মাতা আশফাক নিপুনকেও রাখা হয়েছিল। তবে তিনি বহু আগে থেকেই চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের বিরোধী। ফলে তিনি নিজের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। এছাড়া শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টেও নিপুনের নাম আছে। ফলে দুটি জায়গায় তাকে সদস্য করা নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা।
তাই চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে আশফাক নিপুনের সরে দাঁড়ানোর এটাও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও নির্মাতা নিজে এ বিষয়টি পরিষ্কার করেননি। নিপুন শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানান, তিনি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে থাকতে চান না, সদস্যপদ বাতিল করতে চান।